খুনাক্ষর
- রাকিব ইমতিয়াজ - খসড়া ০৩-০৫-২০২৪

অজান্তেই; ভুলে ছড়িয়ে দেয়া তোর পাপড়িগুলো স্থায়ী আসন পেতেছিলো বুকে।
অনাবাদী তবু উর্বর মাটির ছোয়ায় অঙ্কুরে রূপ নিয়েছিলো আবেশে।
সুপ্ত সিক্ত সে পাপড়ি কখন যে শেকড় ছড়িয়ে দখল নিচ্ছিলো গভীর থেকে গভীরে_
টের পাইনি; ঘুনাক্ষরেও জানতে পারিনি বেদখল হচ্ছে জমি!
অজান্তেই তাকিয়ে তোর ভুলোমনা হাসি,
রসদ জুগিয়েছিলো শেকড়ে।
হাওয়ায় দুলে ওঠা সুরভিতো চুল,
জড়িয়ে রেখে পতন ঠেকিয়েছিলো দুর্বল কান্ডের।
নিটোল কোমল পা দুখানি,
আমার অরক্ষিত প্রাচীর ডিঙিয়ে ঢুকে পরেছিলো অন্দরে।
সদর্পে মাড়িয়ে চলেছিলো ঘর থেকে ঘরে, দেউরি থেকে অঙ্গনে।
টের পাইনি; ঘুনাক্ষরেও জানতে পারিনি বেদখল হচ্ছে আবাস!
অজান্তেই ভুলো সরলতায় হৃদয়ে গড়ে নিয়েছিলি স্থায়ী সিংহাসন।
আর আমি অজান্তেই বিস্তৃত হতে দিয়েছি সেই সাম্রাজ্য।
নিজের যত ব্যর্থতা, হীনতা, দীনতার মাঝেও পরিস্ফুট করেছি তোকে।
টের পাইনি; ঘুনাক্ষরেও জানতে পারিনি বেদখল হচ্ছে পৃথিবী।!
এরপর একদিন হঠাৎ করেই তাকিয়ে দেখলাম পরিবর্তিত চারিদিক!
মধুকরের ভোঁ শব্দে চকিত হলো ইন্দ্রিয়।
সেইযে শেকড়ে শেকড়ে বাঁধ বুনতে থাকা সুপ্ত তরু,
চোখে পড়লো তারই অগনিত সুশোভিত পুষ্পরাজি।
মধুকর যেনো তারই অনুসরণে, অনুসারী হলাম নিজেও।
পেরিয়ে এলাম ঘর থেকে ঘর, অঙ্গন থেকে দেউরিতে।
ছুটে চললাম দিগ্বিদিক হাহাকারে, উৎসের সন্ধানে।
টের পেলাম; বুঝতে পারলাম বেদখল হয়েছি আমি!

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।